ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

ছিনতাইকালে আটক ৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

ফেনী প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দেড় লাখ টাকা ছিনতাইকালে স্থানীয় জনতার হাতে আটক ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করেছে পুলিশ সুপার।

সোমবার দুপুরে ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন আদর্শগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রের এক এএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সোনাগাজী মডেল থানার আদর্শগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. জহিরুল হক, কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল কায়সার হামিদ।

পুলিশ সুপার আরও জানান, টাকা ছিনতাই ও জনতার হাতে পুলিশ সদস্য আটকের ঘটনাটি তদন্তের জন্য জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বদরুল আলম মোল্লাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে সে অনুয়ায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেড়লাখ টাকা ছিনতাই বা উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ সদস্যদের থেকে কোন টাকা উদ্ধার হয়নি। যতটুকু জেনেছি টাকা জনতার কাছে ছিলো। তদন্তে যদি পুলিশ সদস্যদের কাছে টাকার তথ্য পাওয়া যায় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছোটধ্বলি গ্রামে ছিনতাই করা দেড়লাখ টাকাসহ তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করছিলো জনতা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, সোনাগাজীর ছোটধ্বলি গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ রোববার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ওপর তিন পুলিশ সদস্য তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে সিএসজিচালিত অটোরিকশায় তুলে মারধর শুরু করেন। পরে ব্যবসায়ীর কোমরে থেকে দেড়লাখ টাকার বান্ডিল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে দেন।

‘তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে সিএনজি অটোরিকশাসহ তিন পুলিশকে আটক করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীর দেড়লাখ টাকা উদ্ধার করি এবং ফেনীর পুলিশ সুপারের অনুরোধে তাদেরকে সোনাগাজী থানা পুলিশের হাতে তুলে দিই।’

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, আদর্শগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রের ৩ পুলিশ সদস্যের সঙ্গে মুছাপুরের স্থানীয় লোকজনের সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি গত রাতেই পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।।

পাঠকের মতামত: